খুলে দেওয়া কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে তা নিয়মিত তদারক করছে বিজিএমইএ। কোন কোন কারখানায় বিজিএমইএর গাইডলাইন বা নির্দেশিকা অনুযায়ী নিরাপত্তা শর্ত প্রতিপালন হচ্ছে না-শ্রমিক নেতাদের এ অভিযোগের কারণে মনিটরিং টিমের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। টিমের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ৬ জন পরিচালকের নেতৃত্বে আলাদা টিম আকস্মিক পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
কোনো কারখানায় গাইডলাইনের ব্যতিক্রম দেখা গেলে ওই কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আজ রবিবার পর্যন্ত ১৯৬টি কারখানা পরিদর্শনে ৬টি বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া গেছে। বাকি ১৯০টি কারখানায় সুরক্ষা ব্যবস্থা সন্তোষজনক পেয়েছে পরিদর্শন টিম।
সূত্র জানিয়েছে, কারখানা প্রবেশের আগে শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয় কি না, কারখানার ভেতরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কি না, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে কি না- এ করম দশটি প্রশ্নের জবাব মেলানো হয় পরিদর্শনে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ডিআইএফইর সহায়তায় এই গাইড লাইনটি তৈরি করা হয়।
এদিকে শিল্পপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার পর্যন্ত সারা দেশে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতের দুই হাজার ৮০৫টি কারখানা খোলা হয়েছে। তবে এখনো বন্ধ থাকা কারখানার সংখ্যা চার হাজার ৪১৭টি। বকেয়া বেতনসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৭টি কারখানায় শ্রম অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে আজ।